ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১১:৫১

৫ বছরেও চালু হয়নি সাতক্ষীরা মেডিকেলের জরুরি বিভাগ

অনলাইন ডেস্ক
৫ বছরেও চালু হয়নি সাতক্ষীরা মেডিকেলের জরুরি বিভাগ

জনবল সংকটের কারণে অবকাঠামো নির্মাণের পাঁচ বছর পরও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু হয়নি। এতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। জরুরি বিভাগ চালু না হওয়ায় প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পরিচালনার জন্য সহকারী মেডিকেল সার্জনের পদ থাকতে হয়। কিন্তু এ মেডিকেল কলেজে পদটি রাখা হয়নি। অন্যদিকে এ হাসপাতালের ৫৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ২৩ জন। ফলে ৩৫ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া ১৬৫ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত ১৪০ জন। তাছাড়া ১৩ জন সহকারী সার্জনের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র তিনজন। ফলে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি জরুরি বিভাগও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আনিসুর রহিম জানান, জেলার ২৩-২৪ লাখ মানুষের সরকারি খরচে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য এ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি চালু হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি আজও। জরুরি বিভাগটি চালু হলে এ জেলার বিপুল সংখ্যক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারত। কিন্তু আমলাতান্ত্রিকসহ নানা জটিলতায় হাসপাতালটি নির্মাণের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও জরুরি বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি আজও।

তিনি বলেন, ৫৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ২৩ জন দিয়ে চলছে এ হাসপাতাল। তাছাড়া ২৫ জন নার্সের পদ খালি রয়েছে। তবে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগটি চালু হলে জেলার সাধারণ মানুষ সরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান মীর মোস্তাক আহমেদ রবি জানান, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে এ হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সসহ অন্যান্য জনবল বাড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া দ্রুত যাতে জরুরি বিভাগ চালু করা যায়, সে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

উপরে