বিসিআইসির সর্বকনিষ্ঠ শ্রমিক নেতা শিহাবকে স্ট্যান্ড-রিলিজ,স্তব্ধ শাহজালাল সারকারখানা
ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরীতে কর্মরত বিসিআইসির সর্বকনিষ্ঠ শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ দিদারুলকে (শিহাব) আকস্মিক স্ট্যান্ড-রিলিজ করায় জড়ীভূত রূপ ধারণ করেছে শাহজালাল সারকারখানা। তিনদিন পর প্রাপ্ত রিলিজ পেপারে আকস্মিক স্ট্যান্ড-রিলিজের স্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রমিকদের দাবি আদায়ের পক্ষে ও শ্রম আইন পরিপন্থী অবৈধ কমিটি ভেঙে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পক্ষে কথা বললেই স্ট্যান্ড-রিলিজ এমন একটা ভীতি বিরাজ করছে ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল সারকারখানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, শিহাব ভাই সবসময়ই সাধারণ শ্রমিকদের দাবি পূরণে কাজ করে আসছেন। সারকারখানায় যোগ দিয়েই প্রথম সিবিএ ইলেকশনে বিপুল ভোটে কার্যকরী পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হোন তিনি। পরবর্তীতে ইলেকশনবিহীন অবৈধ কমিটির বাজার শুরু হলে তার বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার হোন। কারখানায় ঘটে যাওয়া কোনোরকম লুটপাট, টেন্ডারবাজি, বাজার দখল কিংবা অবৈধ কার্যক্রমের ধরাছোঁয়ার বাইরে তার অবস্থান। এমতাবস্থায় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন নেতার আকস্মিক স্ট্যান্ড-রিলিজ অর্ডার সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং সাধারণ শ্রমিকদের জন্য ভীতির সঞ্চারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্ট্যান্ড-রিলিজপ্রাপ্ত এই শ্রমিকনেতা ফেঞ্চুগঞ্জের জননন্দিত আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত শেখ তজমুল আলী চেয়ারম্যানের পুত্র। তজমুল আলী সেই ব্যক্তি যার মাধ্যমে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানায় পাঁচজন স্থানীয় লোকের কোটাভিত্তিক চাকরি নিশ্চিত হয় এবং পরবর্তীতে সারকারখানা রক্ষা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে মোটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিসিআইসির চাকরি বদলিযোগ্য। তিনি উপরের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র। রিলিজ পেপার আগমনের তারিখ ও আকস্মিক স্ট্যান্ড রিলিজের কারণ জানতে চাইলে তিনি সেটা জানাতে অসম্মতি ব্যক্ত করেন।