মা ও মেয়ের স্বামী একই শুনলে অবাক হবেন আপনি
মা ও মেয়ে তাদের স্বামী একজনই, দুজনেই তারা একসাথে ভাগ করে নেয় শয্যা। কোন কেচ্ছা নয় এটাই রিতি মান্ত্তী সম্প্রদায়ের।প্রাচীন এই সম্প্রদায়ের বাস ভারতে এবং বাংলাদেশের সীমান্তের পাহাড়ী অঞ্চলে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে উঠেছে এসেছে দুই মান্ত্তী নারী এবং তাদের স্বামীর কথা।এ পরিবারটির বাস মধুপুরের জঙ্গল ঘেরা গ্রাম। ঢাকা থেকে মধুপুর যেতে সময় লাগে ৬ ঘন্টা।
মধুপুরের এক প্রত্যন্ত মান্ত্তী গ্রামে বাস ওরোলা দাবোতে কিশোরীবেলায় যে সেই স্বাদ পেল নারীত্বের, অমনি তার সামনে প্রকাশিত হলো এক ভয়ংকর সত্য। ওরোলার মা মিত্তমনি তাকে জানা্লো যাকে ওরোলা সৎ বাবা বলে যেনে এসেছে সে আসলে তার স্বামী ।
মাতৃতান্ত্রিক হলেও মান্ত্তী সমাজে এটি প্রচলিত আছে এক অভূদ এ রীতি। যদি কোন বিধবা নারী বিয়ে করতে চান তাহলে তাকে বিয়ে করতে হবে শশুরবাড়ির গোষ্টী থেকেই।
যে রকম হয়েছে মিত্তমোনিকেও। মাত্র ২০ বছর বয়সে স্বামী হারান সে। এদিকে শশুরবাড়ির বংশে তখন বিয়ের পাত্র ছিল মাত্র একজন ১৭ বছর বয়সী নোতেন। তাকে বিয়ে করলেন মিত্তোমনি।
কিন্তু মানতে হলো শর্ত যে, মিত্তোমনির মেয়ে যখন পূর্ন বয়ষ্ক হবে তখন তার সাথে বিয়ে দিতে হবে, আর সে হবে নোতেনের দ্বীতিয় স্ত্রী। মেয়েকে সতীন করতে রোজি হল সে। মহিলাদের বিয়ে করতে রাজি হয়না অল্পবয়সী পুরুষ।
মাত্র তিন বছর বয়সে নাকি বিয়ে হয় নোতেনের সাথে। এখন মা মেয়ের দুজনের সাথে সাথে দিব্যি আছেন নোতেন, সংসারে বড় হচ্ছে মা মিত্তোমনি এবং মেয়ে ওরোলার সন্তানরা। সবার বাবা নোতেন।রীতির চাপে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ওরোলা। মন্ত্তী সমাজের মেয়েরাই বেছেনেয় জীবন সঙ্গী। প্রোপোজও তারাই করে। বিয়েরপরে শশুরঘর করতে আসে তার স্বামী। এমনকি সম্পত্তির মালকিনও তারা হয়ে থাকে। কিন্তু এসবের থেকে বঞ্চিত ওরোলা।
মাঝ থেকে নস্ট হয়েছে গেছে মা মেয়ের সম্পর্ক মিত্তোমনি মা একন মা নয় ওরোলার সতীন। পানীয় জল বিদ্যুৎহীন গ্রামে থেকে সংসার করে যান সতীন মা মেয়ে। কলা, আনারস বেচে যোগাড় করেন অন্ন।
আসলে উপজাতিদের মাতৃাতান্ত্রিক সমাজ শাঁখের করাত। এখানে মেয়েদের উপার্জনও করতে হয়। আবার সংসারে উনকোটি তেষট্টিও সামলাতে হয়। পুরুষ তাদের পরজীবি মাত্র।