মসজিদে আজান দেওয়ার সময় বাবাকে কোপাল ছেলে
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মসজিদে আজান দেওয়ার সময় বাবাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ফকির (৩৫)। এ ঘটনায় শহিদুলকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে মসজিদের মাইকে ফজরের আজান দিচ্ছিলেন মোয়াজ্জিন আছিরুদ্দিন ফকির (৬২)। এসময় তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে তারই ছেলে শহিদুল ইসলাম। পরে আছিরুদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসি জানায়, আছিরুদ্দিন ফকির গোড়াইল গ্রামের ছাইফুন্নেছা জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন। বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের আজান দিচ্ছিলেন তিনি। আজান শেষ না হতেই আছিরুদ্দিনের চিৎকার শুনতে পায় প্রতিবেশীরা। তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গোড়াইল গ্রামের আজিজ মাতুব্বর, আক্কাছ মাতুব্বর, সাইফুল শেখসহ বেশ কয়েকজন। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মোয়াজ্জিন আছিরুদ্দিন রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছেলে শহিদুলকে জাপটে ধরে আছেন। শহিদুলের হাতে এসময় ধারালো একটি ছুরি ছিল। আহত আছিরুদ্দিনের শরীর থেকে এসময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মসজিদের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।
প্রতিবেশী আজিজ মাতুব্বরসহ স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা গ্রামবাসী মসজিদ থেকে আহত আছিরুদ্দিনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আছিরুদ্দিন বলেন, হত্যা করতে আমাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে শহিদুল। আমি মনে হয় বাঁচবো না। আমি মারা গেলে জমিজমা আমার দুই মেয়ে ও নাতিদের দিস। শহিদুল যেনো আমার কোনো সম্পত্তি না পায়।
নগরকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম ফকিরকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।