যমুনায় পিকনিকের নৌকা ডুবে ৫ যুবক নিখোঁজ, এখনও মেলেনি সন্ধান
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ের অদূরে সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ এলাকায় যমুনা নদীতে পিকনিকের নৌকা ডুবে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ৫ যুবক নিখোঁজ হয়েছেন।
এরা হলেন- উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বাইশকাইল পূর্বপাড়া গ্রামের সাত্তার মন্ডলের ছেলে মারুফ হাসান (২৬), আব্দুর রশিদের ছেলে হাসিনুর রহমান (৩০), আবুল হোসেনের ছেলে মিজান (২৮), সোহরাব হোসেনের ছেলে শরিফ (১৭) ও কিতাব আলীর ছেলে শাহাদত (১৭)।
গতকাল বুধবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিডি২৪লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) বেলা ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাদের সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মনজিরুল হক বিডি২৪লাইভ কে মুঠোফোনে বলেন, গতকাল বুধবার বিকালর নৌকা ডুবির ঘটনায় ৫ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। সেদিন তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল আনা হয়। কিন্তু নদীতে পানির তীব্র স্রোত থাকায় নিখোঁজদের উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে পিকনিকের আয়োজন করেন ওই গ্রামের ২২ জন যুবক। গত বুধবার সকালে ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই নৌকা ঘাট থেকে ৪ হাজার টাকা ভাড়ায় একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পিকনিকের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ে যান তারা। এরপর সেতু পশ্চিম পাড়ের মতিয়ার ঘাটে নেমে দুপুরের খাবার শেষে বিকালে চায়না বাঁধ নামক এলাকায় ঘুরতে যায়। পরে গোপালপুরে ফেরার পথে বিকেল ৫ টার দিকে সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধের অধূরে পানির প্রবল স্রোত আর ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ১৭ আরোহী সাঁতরে নদীর পাড়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছালেও ওই ৫ জন নিখোঁজ হন।