শিমুলিয়া ঘাটে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে দক্ষিণ বঙ্গগামি ২১ জেলার ঘরমুখো যাত্রীদের ভীর বেড়েছে। শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে এ ঘাটে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সামাল দিতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে তারা জানিয়েছেন আগের ঈদের তুলনায় এবার যাত্রী চাপ কিছুটা কম আছে। ঘাট এলাকায় ৫ শতাধিক ছোট গাড়ি ও কয়েকশ মোটর সাইকেল পারের অপেক্ষায় রয়েছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ১০ ফেরি ৮৭ লঞ্চ ও ৩ শতাধিক স্পীডবোট চলাচল করছে।
প্রবল স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়। সাড়ে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার ভোর ৫ টা দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ৩ টি ফেরি ঘাট দিয়ে ১৬ টি ফেরির মধ্যে ১০ টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ৩নং রোরো ফেরি ঘাটটি গত ৩ দিন আগে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। প্রবল স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ৬টি ডাম্প ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। শত শত মোটরবাইক ফেরিতে পার হওয়ার জন্য ঘাট এলাকায় দেখা গেছে। নোঙরে রাখা লঞ্চ গুলো একটা করে শিমুলিয়া ঘাটে আসে। লঞ্চ কম আছে মনে করে যাত্রীরা গাদগাদি করে উঠছে। লঞ্চ যাত্রীদের সামাল দিতে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও আনসারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সুযোগে লঞ্চ স্টাফরা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে প্রবল স্রোতে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। সরকারের দেয়া নিয়ম ভঙ্গ করে যেভাবে চলছে লঞ্চ, ঠিক তেমনি স্পীডবোট গুলোতে নিয়ম মানছে না। অতিরিক্তি যাত্রী নিয়ে তারা ছুটছেন। জীবনের ঝুকি নিয়ে যাত্রীরা ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন। লঞ্চ ও স্পীডবোট ঘাট এলাকায় ৪ টি পানির ট্যাংক ও একটি স্প্রে-মেশিন বসানো থাকলেও কোন কাজে আসছে না। ট্যাংকিতে পানি নেই, নেই সাবান। স্প্রে-মেশিনটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
মাওয়া বিআইডব্লিউটিএ সহকারি পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। স্রোতের কারণে লঞ্চ কাঁঠালবাড়ি গিয়ে ফেরত আসতে সময় বেশি লাগছে। আমাদের মত চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে যাত্রী নিরাপদে নির্ভিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে। মাস্ক পরিধান অবশ্যই বাধতামূলক। মাস্ক ছাড়া লঞ্চে উঠা নিষেধাজ্ঞা আছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেনতা খুবই কম। শিমুলিয়া স্পীডবোট ইজারাদার এর ম্যানেজার স্বাধীন আহমেদ জানান, ভাড়া বাড়ানো হয় নাই, ১৫০ টাকা আগের ভ্ড়া্ইা নিচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০/২২ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করে নিচ্ছি।
শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসি সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্য চৌহান জানান, প্রবল স্রোতের কারণে দূর্ঘটনা এড়াতে গতরাত সাড়ে ৮ টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়। শুক্রবার ভোর ৫ টা থেকে চালু হয়েছে। ১০ টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। সাড়ে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকায়, ঘাট এলাকায় বেশ গাড়ির চাপ রয়েছে। তবে দুই থেকে তিন শতাধিক মোটর সাইকেল পারের অপেক্ষায় আছে ২৫টির মত নাইটকোচ রয়েছে। মাওয়া ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন জানান, আজ গাড়ি ও যাত্রীচাপ কিছুটা বেড়েছে। যাত্রীদের নির্ভিঘ্নে বাড়ি ফিরতে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেদিক খেয়াল রেখেই বিভিন্ন দপ্তর কাজ করছে। ঈদে এখন আর কোন ভিআইপি নেই। সবাই সমান।