ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২০ ১৫:৫৯

হবিগঞ্জের পশু হাটগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রভাব

অনলাইন ডেস্ক
হবিগঞ্জের পশু হাটগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রভাব

আর কয়েক দিন পরই ঈদ-উল-আজহা। সবকিছুর মতোই করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বসা হবিগঞ্জের পশুর হাটগুলোতে। সবগুলো হাট ক্রেতাশূন্য। গরুর দামও কম। এতে বিক্রেতারা চিন্তায় থাকলেও কম দামে গরু কিনতে পেরে অনেক ক্রেতা খুশি। জেলার কোনো হাটেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সরেজমিনে এসব চিত্র দেখা যায়।

জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসে শহরের গরুর বাজারে। গত বছর এই হাট দেশি গরুর দখলে ছিল। ভারতীয় গরু ছিল কম। এখানে ঈদের আগে সপ্তাহে মঙ্গল ও শুক্রবার দু'টি হাট বসে। ঈদের আগের দিন বাধ্যতামূলক হাট বসে। প্রতিটি হাটে অন্তত লাখ খানেক গরু ওঠে। হাট এলাকা ছাড়িয়ে বাজার বিস্তৃত হয় উত্তর-পশ্চিমে খোয়াই নদীর তীরে কামড়াপুর সেতু, পূর্বে পুরান বাজার, দক্ষিণে কালিগাছ তলা এবং উত্তরে কামড়াপুর বাইপাস সড়ক পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর বাজারে দেখা মিলছে শুধু কিছু দেশি গরু। বাজারের ভেতরের অংশই পূর্ণ হচ্ছে না। এ বছর জেলায় মোট ৬০টি কোরবানির পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে ১৪টি স্থায়ী। দূর-দূরান্ত থেকে এসব হাটে আসা ব্যবসায়ীদের ক্রেতার অভাবে গরু বিক্রি করতে না পেরে এবার হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। করোনায় কিছু বিক্রেতা থাকলেও নেই তেমন কোনো ক্রেতা। তাদের আশা শেষ মুহূর্তে হয়তো বাজার জমে উঠবে। হবিগঞ্জ পৌর পশুর হাটের ম্যানেজার মুকুল আচার্য বলেন, গরু বাজারে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে এবার ক্রেতা নেই। বিক্রেতার সংখ্যাও কম। এ বছর ইজারার মূলধন পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে।

গরুর পাইকারি ব্যবসায়ী সদর উপজেলার গজারিয়াকান্দি গ্রামের জবেদ আলী বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে ক্রেতারা বাজারে গরু কিনতে আসছেন না। অনেকে গ্রামাঞ্চল থেকে পশু কিনছেন। এবার প্রতিটি গরুতে দাম কমেছে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা। আগামী মঙ্গল ও শুক্রবার বাজারগুলো জমে উঠতে পারে বলে আশা করছি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, এবার তিন হাজার খামারে ৩৫ হাজার গরু, আট হাজার ছাগল ও চার হাজার ভেড়া লালন পালন করা হয়েছে। এছাড়া কৃষক পর্যায়ে লালন পালন করা হয়েছে আরও ৩৫ হাজার গরু। সব মিলিয়ে এবার প্রায় ৭০ হাজার গরু জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, জেলার উৎপাদিত গরু থেকে ৮০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। বাকিগুলো আসে বাইরে থেকে। এবার গরুর দাম কম। শেষ পর্যন্ত যদি বাজারের এমন অবস্থা থাকে তবে অনেক খামারিকে পথে বসতে হবে। শুধু তাই নয়, হাটের অনেক ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আশা করছি শেষ মুহূর্তে বাজার জমে উঠবে। 

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, এবার জেলা স্থায়ী ১৪টি ও অস্থায়ী ৪৫টি পশুর হাট বসেছে। হাটগুলোতে জেলা পুলিশের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 

 

উপরে