ফেসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে ভ্যাট ফাঁকির অভিযান চালিয়ে সত্যতা পাওয়ায় এবার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে মিষ্টান্ন পণ্যের বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘মি. বেকারের’। বৃহস্পতিবার ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই সিদ্ধান্তের পর এখন ভ্যাট ফাঁকির বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। কোন সূত্র ধরে ভ্যাট গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়েছে, অভিযানে কী পেয়েছে, এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ই অক্টোবর সাবেক সচিব আসিফ জামান নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডে অবস্থিত ‘মি. বেকার’-এর বিক্রয়কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভ্যাট চালান না দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন। তিনি ওই স্ট্যাটাসে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে প্রতিকার চেয়ে উল্লেখ করেন, ভোক্তারা ভ্যাট দিলেও তা সরকার পাচ্ছে না। ওই বিক্রয়কেন্দ্রটিতে ভ্যাট কাটার একটি কাঁচা চালান ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে এনবিআরের চেয়ারম্যান তদন্ত করার জন্য ভ্যাট গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেন।

যার পরে এনবিআরের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ২০শে অক্টোবর মি. বেকারের টঙ্গী ও গাজীপুরের তারগাছ প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালান ভ্যাট গোয়েন্দারা। প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করে ব্যাপক পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির প্রাথমিক তথ্য পান তারা। এখন অধিকতর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।