বাংলাদেশে গাড়ি বানাতে চায় মিৎসুবিশি-টাটা : বাণিজ্যমন্ত্রী
জাপানের মিৎসুবিশি ও ভারতের টাটা কোম্পানি বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। সরকার রপ্তানি খাতের পণ্যসংখ্যা বাড়াতে কৃষিজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি, পাটজাত পণ্য খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। সুইজারল্যান্ড চাইলে তা ব্যবহার করতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপানের বিখ্যাত মিৎসুবিশি ও ভারতের টাটা কোম্পানি বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে বাংলাদেশ কোম্পানি আইন সময়োপযোগী করাসহ ব্যবসা সহজীকরণের অন্যান্য সূচকেও প্রয়োজনীয় সংস্কার করেছে।
টিপু মুনশি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এগুলোর প্রায় অর্ধেকের কাজ শেষের পথে। এগুলোয় জাপান, ভারত, চীন, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য করসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের জন্য লাভজনক বিনিয়োগ স্থান হতে পারে বাংলাদেশ। সুইজারল্যান্ডের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী দল বাংলাদেশ সফর করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয় তার দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সুইজারল্যান্ড চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফার্মাসিউটিক্যালস ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একটি বৈঠক করার প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রদূত। বলেন, এতে করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিত করা সহজ হবে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলা ও মহামারীকালে রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে একটি বৈঠকে একমত পোষণ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করেছে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময় আমদানি হয় ২৭ কোটি ৬ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য।
২০১৯-২০ অর্থবছর বাংলাদেশ ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। জুলাই-মার্চ সময়ে আমদানি করেছে ২৪ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য।