‘নগদ’ থেকে ১.১২ কোটি টাকা লাভ করল ডাক বিভাগ
করোনার কারণে সবকিছুতে যখন মন্দাভাব থাকলেও এ সময় সরকারি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের কাছ থেকে এক কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৬ টাকা পেয়েছে ডাক বিভাগ।
রবিবার ডাক বিভাগের সদ্য নির্মিত ডাক ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের হাতে এই চেক তুলে দেন ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক।
সদ্য শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সেবার ওপর থেকে আয়ের অংশ হিসেবে ডাক বিভাগকে এই অর্থ প্রদান করে নগদ।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রসহ ‘নগদ’-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই অঞ্চলে ডাক সেবার ২০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সেবা থেকে এমন আয় জমা পড়ল ডাক বিভাগের অ্যাকাউন্টসে। শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ডাক বিভাগের আয়-ব্যয়ের হিসেব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ডাক বিভাগের আয় আর ব্যয়ের মাঝে ঘাটতি ছিল ৪৩৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ডাক বিভাগের লোকসান হয় ৪৩৬ কোটি টাকা।
‘নগদ’-এর এই সাফল্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ডাক বিভাগ এমন অর্জন করতে পারবে, এটা অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল। আমার বিশ্বাস ‘নগদ’-এর এই পথ ধরেই সামনের দিনে ডাক বিভাগ ঘুরে দাঁড়াবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আদলে সরকারি সহায়তার সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ইনোভেশনে যুক্ত হয়ে প্রায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে।
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, শুরু থেকেই আমরা মানুষের চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আমাদের সেবা কাঠামো সাজিয়েছি। সে কারণে সবচেয়ে কম খরচে সর্বাধুনিক সেবা নিয়ে আসতে পেরেছে ‘নগদ’। আর তার ফলস্বরূপ সেবা শুরুর মাত্র এক বছরের মধ্যে ‘নগদ’-কে বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল আর্থিক সেবা হিসেবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পোস্টাল ইউনিয়ন স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই দিন বেশি দূরে নয়, যখন ‘নগদ’-এর মাধ্যমেই গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। আর ‘নগদ’-ই হবে দেশের জাতীয় ডিজিটাল আর্থিক সেবা সংস্থা।