মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পরিশোধ করা যাবে ভ্যাটের টাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি অনলাইনে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) টাকা পরিশোধের জন্য গত মাসে ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করেছে। এই পদ্ধতিকে আরও সহজ ও জনপ্রিয় করতে এর সঙ্গে যোগ করা যাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এতে করে বিকাশ, রকেট বা নগদ ব্যবহার করে যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহজে ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
রাজস্ব প্রশাসন গত ১৬ জুলাই ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের আওতায় ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করে। এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পাশাপাশি ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করছে। এর সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যোগ হলে ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ই-পেমেন্ট পদ্ধতির প্রতি আরও আগ্রহী হবেন বলে এনবিআর আশা করছে।
এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় করদাতারা সহজে ও ঝুঁকিমূক্তভাবে ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করছে। এই পদ্ধতিকে আরও জনপ্রিয় করতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যোগ করা হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সহজে ভ্যাটের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে পারবেন।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে একটি নির্দিষ্ট সীমা (লিমিট) থাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কেবলমাত্র ভ্যাটের টাকা নেওয়া হবে। টার্নওভার কর ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে ই-চালানের প্রয়োজন হয়, বিধায় প্রাথমিক পর্যায়ে টার্নওভার কর ও সম্পূরক শুল্কের টাকা এর মাধ্যমে নেওয়া হবে না।
আগামী মাস থেকে বিকাশ, রকেট, নগদ, শিউরক্যাশ, ইউপেসহ মোট ৬টি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএসকে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় যুক্ত হবে।
ই-পেমেন্ট বা অনলাইনে ভ্যাট পরিশোধ ব্যবস্থায় প্রথমে এইচএসবিসি, প্রাইম ও মিডল্যান্ড এই তিনটি ব্যাংক যুক্ত হয়। আগামী মাসে আরও ১৫টি ব্যাংক ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে যুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো-ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ, ঢাকা ব্যাংক, পূর্বালী ব্যাংক, মিউচুয়াল টাস্ট ব্যাংক, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি)।