বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ফের রেকর্ড
করোনা (কভিড-১৯) মহামারির মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক কাজী রফিকুল হাসান জানান, প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় দশ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ার পাশাপাশি জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ৩০ কোটি ডলার যোগ হওয়ায় রিজার্ভ এই নতুন মাইলফলকে পৌঁছায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি মাসের ২৭ দিনে ১৭২ কোটি ৫৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের পুরো আগস্ট মাসে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল।
রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের পাশপাশি বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা ও এআইআইবির ঋণ সহায়তাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। গত পাঁচ মাসে (এপ্রিল-অগাস্ট) এই দাতা সংস্থাগুলোর দেওয়া প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা যোগ হয়েছে রিজার্ভে।
গত ৩ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ জুন সেই রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ৩০ জুন রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এক মাস পর ২৮ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরও অতিক্রম করে।
তিন সপ্তাহ পর গত ১৭ অগাস্ট রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানেই তা এবার ৩৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।