ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৮:৫৯

১০০ কোটি চায় বাফুফে, যা বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
১০০ কোটি চায় বাফুফে, যা বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী

ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ অভিভাবকের কাছে বড় অঙ্কের দাবি জানিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন। ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক সাহায্যের পরিমাণটি বেশ স্বাভাবিকই দেখছেন নতুন মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, ‘ফুটবলের ব্যাপ্তি অত্যন্ত বেশি। দেশি-বিদেশে খেলায় অংশগ্রহণে নানা ব্যয় ফলে তাদের বাজেটের চাহিদাও বেশি থাকবে স্বাভাবিক।’ 

বাফুফে কর্মকর্তারা আজ নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে স্টেডিয়াম সংকটের পাশাপাশি সীডমানির (স্থায়ী আমানত) বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন। স্থায়ী আমানতের সুদ দিয়ে ফুটবল ফেডারেশন বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। 

ফুটবল ফেডারেশনের সীড মানি নিয়ে এখনই ভাবছেন না ক্রীড়ামন্ত্রী, ‘এখনই ১০০ কোটি সীড মানি নিয়ে ভাবছি না। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়-সরকারের সঙ্গে বসতে হবে। তাদের রাজি করানো যাবে কি না জানি না।’ ক্রীড়ামন্ত্রী সীড মানির চেয়ে ফুটবলের বর্তমান সংকট নিরসনকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন, ‘আপাতত সামনে যে খেলাগুলো রয়েছে সেগুলো স্পন্সর করা। অবকাঠামো সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করার দিকেই নজর বেশি।’

জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী থাকাবস্থায় ফুটবল ফেডারেশনকে ২০ কোটি টাকা সীডমানি দিয়েছিল। শর্ত ছিল স্থায়ী আমানতের সুদ দিয়ে বাফুফে চলবে। সেই টাকা বাফুফে রাখতে পারেনি বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে নতুন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন,‘সীড মানির ব্যাপারটা আমি যতটুকু জানি- পুরোপুরি সঠিক কিনা জানি না। কোভিডের সময় নানা সমস্যায় তারা সেই টাকা খরচ করে ফেলেছে। সীড মানি নেই।’

বাফুফে আগের সীড মানির নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। নতুন অর্থ বরাদ্দ দিলে পারবে কি না সেটাও বড় সংশয়। এই বিষয়ে নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী গতকালকের বক্তব্যটাই আজ আবার দিয়েছেন, ‘আগে কি হয়েছে জানি না, শুনতেও চাই না। এখন থেকে যে সাপোর্ট দেওয়া হবে এর সম্পূর্ণ তদারকি থাকবে। যারা কথা শুনবে না। তাদের বলে দেওয়া হবে আমাদের পক্ষ থেকে আর সাপোর্টও পাবে না।’

ফুটবল ফেডারশেন কমলাপুর স্টেডিয়ামে এলিট একাডেমি পরিচালনা করছে। সেই একাডেমিতে আরও ফুটবলার উঠানোর পরিকল্পনা ফেডারেশনের। তাই একাডেমির আবাসন আরও একতলা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে। তিনি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পাশাপাশি কমলাপুর স্টেডিয়ামও পরির্দশনের কথা জানিয়েছেন, ‘কমলাপুর স্টেডিয়ামে আপগ্রেডের বিষয়টিও আমরা ভাবছি। কমলাপুর স্টেডিয়াম যদি আরো উন্নত করা যায় তাহলে সেখানেও তারা অনেক টুর্নামেন্ট বা নানাভাবে ব্যবহার করতে পারে।’

ফুটবলের সবচেয়ে বড় সমস্যা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের স্থবিরতা। সেই বিষয়টি করুণভাবে উপলব্ধি করেছেন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী, ‘ফুটবল ফেডারেশনের মাঠ সংকট প্রকট। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম তাদের দরকার। ৩১ ডিসেম্বর একটা ডেডলাইন রয়েছে। এটি যেন আর বিলম্ব না হয় সেদিকে আমাদের সচেষ্ট থাকব। 

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রকৃত চিত্র সশরীরে দেখতে চাই। দেখে এসে পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারব।’ নাজমুল হাসান পাপন আগামী সপ্তাহের শুরুতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায় যাবেন। সেই সভা থেকে ফিরবেন ৩ ফেব্রুয়ারি। এর পরপরই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবেন।

উপরে